শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

বিএনপির বিরুদ্ধে যা মামলা আছে কোনটাই রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৮
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৫

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দায়ের করা কোন মামলা রাজনৈতিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাই এ সংক্রান্ত মামলার আসামী হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি সব জায়গায় কান্নাকাটি করে বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কিসের মামলা? অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।’

মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে এগুলোর শাস্তি দিয়ে দেওয়া উচিত উল্লেক করে তিনি বলেন, বিএনপি ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ ও রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কি হবে?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওদের বিরুদ্ধে কোন মামলাইতো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে। নির্বাচন ঠেকাতে যেয়ে তারা রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না?

বিএনপির নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি করে তারা সব জায়গায় বলছে তাদের এত লক্ষ লোক তাদের গ্রেপ্তার হয়েছে। সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেগুলোর একটা ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার হয়েছে বলছে জেলখানাগুলোর ততো ধারণক্ষমতা নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি’।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না, তাই তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।

বিরোধীদলে থাকার সময়কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসেতো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কিভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সমবায় ভিত্তিক কৃষি নিশ্চিত করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় ভিত্তিক কৃষি চালু করে জমির আইল দূর করে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি রক্ষা করা যেতে পারে। কৃষিতে গবেষণার পাশাপাশি কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উদ্যোগে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থানার পদক্ষেপ সমূহের চুম্বকাংশ তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি উন্নত হয়েছে, কারণ সরকার কৃষিখাতের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘একসময় যারা নুন-ভাত বা ডাল-ভাতের কথা ভাবতেন, তারা এখন মাছ-মাংস-ডিমের কথা ভাবেন। তাই যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে কি না।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।


ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর রুটিন চেকআপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কাশিমপুরের তেতুইবাড়িতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ (গতকাল) সকালে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন এবং সেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন।’

হাসপাতালে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

প্রধানমন্ত্রী রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিজে হাসপাতালের কাউন্টারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন ও চেকআপ ফি পরিশোধ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন।


চলে গেলেন মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ (৭০) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বাদ জুমা মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাকে আর্মি কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কয়েক মাস আগে তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আসার পর তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এরপর তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর জেনারেল রশীদ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টকশো-তে অংশ নিতেন। তার লেখা কলাম বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হতো।

মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গভীর শোক জানিয়েছেন।


শুধু ১২ জনের কাছেই ট্রেনের ৫০০ টিকিট, বিক্রি হতো ফেসবুকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রেনের ৫০০ টিকিটসহ ১২ কালোবাজারিকে আটক করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকিট কেটেছেন তারা, যা পরে চড়া দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হতো। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-৩ এমন দুটি চক্রের ১২ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বেসরকারি ট্রেনের বিক্রয় প্রতিনিধিও রয়েছেন।

এসব কালোবাজারি আগামী ১০ দিনের প্রায় ৫০০ টিকিট কেটে রেখেছেন। সোহেল ও আরিফুল নামে দুটি চক্র ঠাকুরগাঁও এবং ঢাকা থেকে কালোবাজারি পরিচালনা করতেন। ফিরোজ কবীর বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে তারা অভিযান চালান। ঢাকা থেকে ১০ জনকে আটক করেন তারা। আর দুজনকে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করা হয়েছে। আমরা গত রাতে অভিযান শুরু করি। এটি চলমান অভিযান ছিল। এটি দুই থেকে তিন ধাপে পরিচালনা করা হয়। ঢাকার কমলাপুর ও আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।’

তিনি বলেন, এখানে দুই ধরনের চক্র রয়েছে। এক ধরনের চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখত। পরে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে। সফটকপি পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা বুঝে নেয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘মানিক ও আরেকজনের নাম বকুল। এদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি মানিক মূলত সোহেল নামে একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু, রায়হান ও আনিস নামে আরও একজনের সঙ্গে কালোবাজারি ব্যবসায় আসে। তাদের থেকে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া যায়। এগুলোর হার্ডকপি ও সফট কপি রয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করছে।’

ফিরোজ কবীর বলেন, ‘মানিক ও বকুলের মাধ্যমে আনিস ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। সেখানে ভুয়া সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেক টিকিট কেটে নেন। এদের বড় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।’ তিনি বলেন, রায়হান ও আনিস টিকিট পাঠাতেন সোহেল ও মানিকের কাছে। আর মানিক ও বকুল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন।


প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সফরে ২১ জুন ভারত যাচ্ছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিস্তাসহ দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগিসহ দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার জন্য চলতি মাসেই আবারও দিল্লি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ২১ ও ২২ জুন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়টি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি আগেই মোটামুটি ঠিক করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ২১ জুন দিল্লি পৌঁছাবেন এবং পরেরদিন তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসবেন। সফরের খুঁটিনাটি ঠিক করতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ইতোমধ্যে দুবার ঢাকা ঘুরে গেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, শেখ হাসিনার সফরে তিস্তাসহ দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগি, রেল, সড়ক ও নৌপথে আঞ্চলিক সংযুক্তির কার্যকর প্রসার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের নানা দিক নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৯ জুন শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এর আগে ৮ থেকে ১০ জুন ভারত সফর করেন শেখ হাসিনা।


সেবাই আমাদের উৎসব, সেবাই আমাদের আনন্দ: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদে ঘরমুখো মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশের প্রতিটি সদস্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আজ শুক্রবার বিকেলে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিজের ঈদ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে না করে দেশের সেবা, মানুষের সেবা, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, আনন্দ উপভোগ করি। সেবাই আমাদের উৎসব, সেবাই আমাদের আনন্দ এই ব্রত নিয়ে ঈদে আমরা দায়িত্ব পালন করতে থাকি এবং মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। ঈদের সময় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আজহা নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে। আমরা এ আশাই করছি।’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করে থাকেন। এজন্য পর্যটকের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আর ট্যুরিস্ট পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, ঈদে যে সকল মানুষ ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তারা যেন নিজেদের বাসা বাড়ির সিসি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কিনা তা ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেন। যে কোনো সমস্যার জন্য নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ কিংবা প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করেও পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে। ঈদ উপলক্ষ্যে কোনো ব্যবসায়ী যদি বড় অঙ্কের টাকা-পয়সা পরিবহন করতে চান তাহলে তাদের কেউ পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন।

আইজিপি বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কোনো পশু নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথে যদি কেউ গাড়ি থামিয়ে চাঁদা দাবি করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিবহন শ্রমিক ও চালকদের আইন মেনে চলতে এবং ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন সড়কে না নামাতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়াও ঘরমুখো যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ বা অন্য কোনো অনিরাপদ যানবাহনে গন্তব্যে না যাওয়ার আহ্বান জানান আইজিপি।


আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে এবং শিডিউল বিপর্যয় রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ১৪ জুন রাত ১২টার পর থেকে ঈদের পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্য সব পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস, মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল।

কর্মপরিকল্পনায় আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল এক্সপ্রেস বা বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

এদিকে, ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়াতে কিছুটা চাপ বেশি দেখা গেছে রেল স্টেশনে। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে সড়ক আর নৌপথের মতো ট্রেনেও উপচে পড়া ভিড়।

এর আগে গত বুধবার (১২ জুন) থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। এবার টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।


সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে দেশটির আল আলিফ শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, হাইমচর উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের চরভাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল ছৈয়ালের ছোট ছেলে সাব্বির, একই ইউনিয়নের বর্ডারফুল এলাকার জামাল চৌকিদাদের ছেলে সবুজ চৌকিদার ও ২ নম্বর আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত।

নিহত তিনজনই চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বাসিন্দা। আজ শুক্রবার তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২ নম্বর আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, নিহতরা সৌদি আরবের আল আফিফ শহরে কর্মরত ছিলেন। তাদের মরদেহ দেশে আনার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।


ঈদের দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের দিন সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম জানান, ঈদের আগে ও পরে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে। চট্টগ্রামে এই বিভাগগুলোর তুলনায় কিছুটা কম বৃষ্টি হবে। আর ঢাকাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে তবে তা খুব কম। ঢাকার মধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের পর থেকে ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে।

আজ (১৪ জুন) শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে আজ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী এবং পাবনা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


ভাই, ‘কত নিল’

কোরবানির গরু কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন এক ক্রেতা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৪ জুন, ২০২৪ ১৩:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির পশু কিনে বাড়ি ফেরার পথে ‘ভাই কত নিল’র উত্তর দিতে দিতে প্রায় হাঁপিয়ে যান ক্রেতারা। একটু খারাপ লাগলেও ঈদের আমেজ এই কষ্টকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এরই মধ্যে অনেকেই গরু কিনতে হাটে যাচ্ছেন অনেকে।

আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন দিনটিকে হাটে পশু কিনতে যাওয়ার জন্য। কিনছেনও অনেকেও। গরু কিনে বাড়ি ফেরার সময় দাম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মধুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে কেরানীগঞ্জেরি একটি হাটে দেখা যায়, হাট থেকে মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন এক ক্রেতা। গরু দেখে আরেক ক্রেতা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ভাই কত দিয়ে কিনলেন?

ওই ক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদ এলেই এই মধুর সমস্যায় পড়তে তাদের। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জনে জনে ডেকে দাম জিজ্ঞেস করে। বিষয়টি মজার হলেও অনেক সময়ই দাম বলতে বলতে হাঁপিয়ে উঠতে হয়।

এদিকে, হাটের ইজারাদার কমিটির সদস্য মো. শাওন জানান, ট্রলারে ও ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলা থেকে গরু আসছে। বেচাকেনা এখনও তেমন জমে না উঠলেও আজ (শুক্রবার) বিকেলের পর থেকে ভিড় বাড়বে।

এর আগে, গত বুধবার থেকে ঢাকার দুই ‍সিটি করপোরেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে পশুর হাট বাসবার ঘোষণা আসলেও অনেক জায়গায় দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ের আগেই বসেছে পশুর হাট। তবে হাটগুলোতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।

হাটগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যাচ্ছে এবার মাঝারি আকারের গরুর দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এ বছর পশুর ব্যাপক জোগান থাকাতে দ্রুত গরু বিক্রি করতে না পারলে অনেক বেপারিকেই হয়তো লোকশানের মুখ দেখতে হতে পারে।


হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মক্কায় শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচ দিনের হজে ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফা।

হিজরি ১৪৪৫ সালের জিলহজ মাসের ৮ তারিখ আজ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে অবস্থান করতে হয় আরাফাতের ময়দানে। আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি শেষে আরও দুদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচদিন সময় লাগে।

প্রথম দিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন।

ইহরাম পরার পর দলে দলে হাজিরা মিনায় যান। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। ফজরের নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে।

আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে। মিনা থেকে ৯ জিলহজ ভোর থেকেই হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন নয় কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। এ রাতে মুজদালিফায় তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।

এসময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এরপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায় প্রতীকী বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর) করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুদিন দ্বিতীয় ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজিরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।

নিজ বাড়িতে বা দেশে ফেরার আগে বেশিরভাগ হাজি মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।


দুপুরের মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ছয়টি অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ, স্টেশনে উপচেপড়া ভিড়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়াতে কিছুটা চাপ বেশি দেখা যাচ্ছে। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে সড়ক আর নৌপথের মতো ট্রেনেও উপচে পড়া ভিড়।

গত ৪ জুন যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনেছিলেন তারা আজ যাত্রা করছেন। এ ছাড়া ট্রেনের সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার (১২ জুন) থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। যারা গত ২ জুন টিকিট কিনেছিলেন তারা সেদিন ভ্রমণ করতে পেরেছিলেন। এবার টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী মো.জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা সফলতার সঙ্গে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছি। যা সম্ভব হয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায়। আমরা চেষ্টা করছি যে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৬৪টি ট্রেন ছেড়ে যায়। আজ দু-একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। নিরাপদ ঈদযাত্রার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া আম ও গবাদিপশু পরিবহনের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালু করেছি।

এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বসানো হয়েছে অস্থায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ক্যাম্প। পাশপাশি টহল দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ পুলিশ। যাত্রীদের অগ্নিজনিত নিরাপত্তা প্রদান করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


সদরঘাটে অগ্রিম টিকিটের প্রতি ঝোঁক নেই যাত্রীদের

স্বজনদের সঙ্গে কোরবানির ঈদ করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ছবিটি বৃহস্পতিবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০২
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রীদের সেবা দিতে চালু করা হয়েছে বিশেষ লঞ্চ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বসানো হয়েছে হেল্প ডেস্ক। আনসার ও পুলিশ সদস্যরা সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করছেন। ভিড় এড়াতে যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যের পন্টুন দিয়ে প্রবেশের নির্দেশনা দিয়েছেন সদরঘাটের ট্রাফিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এ দিন ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও টার্মিনাল এলাকায় অনেকটা জনশূন্যতা বিরাজ করছে। লঞ্চগুলো ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হলেও যাত্রীদের তেমন আনাগোনা নেই। দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি লঞ্চের ডেকে কিছু যাত্রী হলেও কেবিনে তেমন যাত্রীই নেই।

আগে এ সময়ে যাত্রীদের চাহিদামতো টিকিট সরবরাহ করতে না পারলেও এখন পাল্টেছে সেই চিত্র। অনেক হাঁকডাক করেও যাত্রী মিলছে না। যাত্রী টানতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া রাখা হলেও যাত্রীরা আগ্রহী হচ্ছে না।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের নিচতলায় রয়েছে সদরঘাট নৌ-থানার কার্যালয়। আনসার ক্যাম্পের পাশে রয়েছে লঞ্চ মালিক সমিতির কার্যালয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নৌ ফাঁড়িও রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে অস্থায়ীভাবে ডেক্স বসিয়ে ডিউটি করছেন র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। নদীতে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

সদরঘাটের কয়েকটি লঞ্চের সুপারভাইজার, টিকিট বিক্রেতা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদকেন্দ্রিক লঞ্চে যাত্রী এখনো বাড়েনি। কিছু কিছু লঞ্চে কিছু সংখ্যক অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে ঈদের ২-৩ দিন আগে যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়মিত দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচল করলেও প্রায় ১০টি রুট এরই মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ মৌসুমেও সেসব রুটে লঞ্চ চলাচলের তেমন সম্ভাবনা নেই। লঞ্চ ব্যবসায় মন্দার কারণে ২০টিরও বেশি লঞ্চ স্ক্যাপ করে বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকরা।

এদিকে টার্মিনাল ঘুরে কথা হয় বরিশালের ভোলাগামী যাত্রী লিটন তালুকদারের সঙ্গে। পরিবার নিয়ে থাকেন ডেমরায়। পেশায় আইনজীবী লিটন গ্রামে পিতা-মাতাসহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভিড় হবে ভেবে বাসা থেকে আগেভাগেই রওনা দিই। বিকেল ৫টায় টার্মিনালে পৌঁছে গেছি। রাস্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি। এখন তো দেখি তেমন ভিড় নেই।’

ঢাকা-ঝালকাঠি রুটের এম ভি ফারহান-৫ লঞ্চের স্টাফ মুশফিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঈদে যেরকম ভিড় বা যাত্রী হতো, এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এ দিন যাত্রী কিছু বেশি ছিল। তবে আজ শুক্রবার যাত্রীসংখ্যা বেশি হবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির পরিচালক গাজী সালাউদ্দিন বাবু বলেন, ‘ঈদযাত্রা সামাল দিতে আমাদের পর্যাপ্ত লঞ্চ রয়েছে। যেসব রুটে যাত্রী বেশি থাকবে প্রয়োজনে সেই রুটে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় লঞ্চ চালাই। অন্য সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার নিচে ভাড়া আমরা নিয়ে থাকি। যার কারণে অনেকে মনে করে ঈদের সময় ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি জানান, পদ্মা সেতুর ফলে সদরঘাটের যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই সড়কমুখী হয়েছেন। এতে করে সদরঘাটে আগের মতো ভিড় ও যাত্রী চাপ নেই।

এ দিন দুপুরে সদরঘাট টার্মিনালে কথা হয় র‌্যাব-১০ এর এসপি সাইফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, জেনারেল ডিউটির পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই রোধে র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটও কাজ করছে।

এ বিষয়ে সদরঘাট টার্মিনালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সদরঘাট টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি অসংখ্য সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এগুলো দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘চলাচলকারী লঞ্চগুলোর স্টাফদের প্রশিক্ষণ, লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা সচেষ্ট আছি।’

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘এখন যাত্রীদের তেমন চাহিদা নেই। আমরা গার্মেন্টস ছুটির অপেক্ষায় আছি। যেদিন গার্মেন্টস ছুটি হবে, সেদিন থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’

যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, যাত্রীবাহী নৌযানের নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যেহেতু ঝড়ের সময়, সে বিষয়েও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।


banner close